27%
ছাড়

দাজ্জাল

190.00

দাজ্জাল! নামটা শুনলেই আমাদের মন আতকে ওঠে। কে হবে সেই দাজ্জাল? আমরা কি পারব এই দাজ্জালের ফিত্না থেকে রক্ষা পেতে?
এই দাজ্জালের বৈশিষ্ট্য কী?
সে মানুষ নাকি অন্য কিছু?
কবে বের হবে?
কতদিন থাকবে পৃথিবীতে?
তার অনুসারী কারা হবে?
ইত্যাদি বিষয় খুব স্পষ্ট করে লেখক বর্ণনা করে দিয়েছেন।
.
চেহারা লালচে বর্ণের ও স্থুলদেহ বিশিষ্ট্য, উসকো-খুসকো চুল ও ডান চোখ কানা, সারা শরীর বড় লোমে আবৃত থাকবে দাজ্জালের। আল্লাহ তায়ালা যেকোন এক দ্বীপে শিকল দিয়ে আটকে রেখেছেন। শেষ জামানায় তাকে মুক্ত করা হবে। সে ৪০ দিনে পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করবে। এমন কোন জায়গা থাকবে না সে যেখানে যাবে না। বিভিন্ন ভাবে মানুষকে ঈমান হারা করে তার অনুসারি বানাবে। তারপর কপালে তার মতোই তিলক পরিয়ে দিবে যাতে লেখা থাকবে কাফের। এই ৪০ দিনের প্রথম দিনটি হবে বর্তমানের এক বছরের সমান, ২য় দিনটি হবে এক মাসের সমান, ৩য় দিনটি হবে এক সপ্তহের সমান। বাকি দিনগুলো নরমাল দিনের মতোই হবে।

দাজ্জালকে কেউ কি দেখেছে? এ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “লাখমান জুদাম নামক স্থান থেকে কিছু খ্রিস্টান আরব গোত্রের কিছু লোক তারা যখন জাহাজে করে যাচ্ছিল, বড় ঢেউ খেলে তাদের জাহাজ ওলটপালট হয়ে গেল, আর একটা অজানা দ্বীপে তরী ফেলার আগ পর্যন্ত তারা এক মাস ধরে দিকভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। সেই দ্বীপের সন্ধান পেলে তারা নৌকায় করে সেই দ্বীপ অভিমুখে যাত্রা শুরু করল, এটা ছিল রাতের বেলা, তারা সকালে সেই দ্বীপে পৌছল। সেখানে তারা দাজ্জালের বর্ণনার সাথে মিলে যায় এমন একজনকে দেখতে পায় ও তার সাথে কথাও বলে। দাজ্জাল বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে ও বলে দেয় সে কখন এখান থেকে মুক্তি পাবে ও কি করবে।”
রাসূল (স:) বলেন, “আদম (আঃ) থেকে নিয়ে কিয়ামত অবধি দাজ্জালের থেকে ভয়ানক কোন সৃষ্টি নেই।” (মুসলিম)

আয়শা (রাঃ) বর্ণনা করেন, “আমি শুনেছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাচ্ছেন। “(বুখারি)
এই সব হাদীসের আলোকে লেখক দাজ্জালকে আমাদের সামনে উপস্থিত করেছেন যেমনটি রাসূল (সঃ) বর্ননা করেছেন। অনেক রেফারেন্স একত্রিত করেছেন শুধু এই প্রকৃত দাজ্জালকে চিহ্নিত করতে। আমরা কি প্রস্তুত আছি সেই দাজ্জালকে চিনতে?্
কিয়ামত পর্যন্ত যত ফেতনা আসবে তার মধ্যে দাজ্জাল এর ফেতনা সবচেইয়ে ভয়াবহ। শুধু শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সঃ ই নন এই ফেতনাকে ভয় পেতেন পূর্বের সকল নবী-রাসুল। সবাই তার উম্মতদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে গেছেন, নিজেরাও পানাহ চেয়েছেন। আমরা যেহেতু শেষ নবীর উম্মত সে হিসেবে দাজ্জাল থেকে মুক্তির উপায় নেই। দাজ্জাল আসবে আমাদের বিভ্রান্ত করতে, ঈমান হারা করতে, আল্লাহ্‌র আসানে বসতে চাইতে। যাদের ঈমান দুর্বল তারা ঈমান হারাবে। একই সাথে যারা ঈমান হারা হবে তাদের কপালে তিলক/সিলমহর দেয়া হবে কাফের।

দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাচতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিস্কৃতি পাবে।’(মুসলিম)
দাজ্জালকে হত্যা করবেন হজরত ঈসা আঃ পুনরায় পৃথিবীতে এসে। হজরত ঈসা আঃ যখন পৃথিবীতে আসবেন তখন ইমাম মাহাদী ও থাকবেন পৃথিবীতে। ইমাম মাহাদীর নেতৃতে যখন নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিবেন তখন ই আবির্ভাব হবেন হযরত ঈসা আঃ। পরে তার নেতৃতে সবাই ঈমান আনবে। দাজ্জাল, ইয়াজুজ, মাজুজ মারা যাবে। দাজ্জাল মারা যাবার পর বের হবে ইয়াজুজ, মাজুজ। তারা আকারে ছোট হবে, সামনে যা পাবে তাই খেয়ে ফেলবে। ঈসা আঃ এর দয়ার কারণে তারা মারা যাবে। এরপর এক সময় সকল ঈমানদার ব্যক্তি মারা যাবেন। তারপর শুরু হবে কিয়ামত।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “দাজ্জাল”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top