25%
ছাড়

কোথাও কেউ নেই

Out of stock

225.00

“কোথাও কেউ নেই” বইটির প্রথম দিকের কিছু কথাঃ
গেটের কাছে এসে মুনা ঘড়ি দেখতে চেষ্টা করল । ডায়ালটা এত ছােট—কিছুই দেখা গেল।
আলােতেই দেখা যায় না, আর এখন তাে অন্ধকার। রিকশা থেকে নেমেই একবার ঘড়ি দেখেছিল—সাড়ে সাত । গলির মােড় থেকে এ পর্যন্ত আসতে খুব বেশি হলে চার মিনিট লেগেছে। কাজেই এখন বাজে সাতটা পঁয়ত্রিশ। এমন কিছু রাত হয়নি। তবু মুনার অস্বস্তি লাগছে। কালও ফিরতে রাত হয়েছে। তার মামা শওকত সাহেব একটি কথাও বলেননি। এমন ভাব করেছেন যেন মুনাকে দেখতেই পাননি। আজও সে রকম করবেন। | মুনা গেট খুলে খুব সাবধানে ভেতরে ঢুকল। জায়গাটা পঁাচপ্যাচে কাদা হয়ে আছে। সকালে বাবুকে দু’বার বলেছিল ইট বিছিয়ে দিতে। সে দেয়নি। বারান্দায় বাতিও জ্বালায়নি। পা পিছলে উল্টে পড়লে শাড়ি নষ্ট হবে। নতুন জামদানী শাড়ি। আজই প্রথম পরা হয়েছে। একবার কাদা লেগে গেলে আর তােলা যাবে না। মুনা পা টিপে টিপে সাবধানে এগুতে লাগল।
মামার গলা পাওয়া যাচ্ছে। বকলকে ইংরেজী পড়াচ্ছেন।সকাল বেলা রাখাল বালক বাঁশি বাজাইতেছিল, বল ইংরেজী কি হবে? বকুল ফোঁপাচ্ছে। চড়টর খেয়েছে হয়ত। ইদানীং মামার মেজাজ বেশ খারাপ যাচ্ছে। মুনা মনে মনে ট্রানস্লেশনটা করতে চেষ্টা করল। রাখাল বালকের ইংরেজী কী হবে? ফারমার বয়? না অন্য কিছু? অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে সে দরজার কড়া নাড়ল—একবার, দু’বার, তিনবার। দরজা খুলতে কেউ এগিয়ে আসছে মুনা নিচু স্বরে ডাকল-বকুল, এই বকুল। | বকুল ভয়ে ভয়ে তাকাল বাবার দিকে। শওকত সাহেব ধমকে উঠলেন—একটা ট্রানস্লেশন করতে

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কোথাও কেউ নেই”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top