32%
ছাড়

অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়

284.00

পৃষ্ঠাঃ ২৯৬সম্পাদকের চোখে “অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়”
[ মুহাম্মাদ জুবায়ের – লেখক | সম্পাদক ]|| ইসলামপন্থী তরুণ লেখকদের বইপত্রের শুরুতে ‘সম্পাদকের কথা’ টাইপ শিরোনামে ভারী ভারী কথা লেখার প্রচলন। আমি নিজেও বিভিন্নসময় এ কাজ করেছি। তবে এই বই নিয়ে অলরেডি অনেক ভারী কথা হয়ে গেছে; আমি হালকা মেজাজে দুয়েকটা কথা বলতে চাচ্ছি। … আস্তিকতা-নাস্তিকতা বিষয়ক লেখালেখি ইসলামপন্থীদের থেকে বছর দশেক আগে ব্লগের যুগ থেকেই চলে আসছে। ব্লগগুলোতে যখন ধর্মবিদ্বেষীদের আধিপত্য, তখন কিছু মুখলিস ভাই সময়ের দাবি মেটাতে কলম তুলে নিলেন। …ব্লগের যুগ পেরিয়ে আমরা ঢুকলাম ফেসবুক যুগে, এরপর এলো বইয়ের যুগ। নাস্তিকদের জবাব দিয়ে লেখাগুলো কাগজের পাতায় উঠে এলো, মলাটবদ্ধ অবস্থায় ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল। দেখা যায় এই বইগুলোর সিংহভাগেই নাস্তিকদের জবাব দেওয়াটাকেই ফোকাস করা হয়। এই ধারাটার অবশ্যই দরকার আছে, তবু মনে হতো যদি এমন একটা বই লেখা হতো যেখানে তাদের প্রশ্ন ধরে ধরে জবাব না দিয়ে বরং তারা যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এসব আপত্তি তোলে, সেই ভিত্তিটাকেই নাড়িয়ে দেওয়া যাবে! … সেই আশার পালে হাওয়া দিলেন রাফান আহমেদ ভাই। তিনি লিখলেন ‘বিশ্বাসের যৌক্তিকতা’, খুব ছোট্ট কিন্তু ওজনদার এ বইটা হচ্ছে ট্রেইলার। ট্রেইলারের কুঁড়িটা পুষ্প হয়ে ফুটল ‘অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়’– এ।‘অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়’– এর পাণ্ডুলিপি পড়তে গিয়ে দুটো কারণে বিস্মিত হই। প্রথমটা হলো মুগ্ধতাজনিত বিস্ময়। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল–আরে এটা তো সেই ধারার বই যার জন্য অ্যাদ্দিন ধরে অপেক্ষা করেছি! আর দ্বিতীয় কারণ হলেন লেখক নিজে। রাফান ভাই পেশায় চিকিৎসক। উদয়াস্ত খাটছেন রোগীদের পেছনে, রাতের পর রাত জাগছেন, এতটুকু ফুরসৎ নেই। ওনার সাথে যখন পাণ্ডুলিপি নিয়ে আলোচনায় বসেছি তখনও একটু পরপর ফোন আসছে হাসপাতাল থেকে। এমন আদ্যন্ত ব্যস্ত একজন মানুষ এত তথ্যবহুল আর গভীর আলোচনার পৌনে তিনশো পৃষ্ঠার প্রমাণ সাইজের একটা বই লিখে ফেলেছেন, বিশ্বাস করা কঠিন। আসলে আল্লাহ্‌ যাকে দিয়ে চান তাকে দিয়ে করান।বইটাকে ‘ব্যতিক্রমী’ বলছি এজন্যই যে, এটা টিপিক্যাল ‘নাস্তিকদের আপত্তির জবাব’ টাইপ লেখা না। এখানে লেখক হুমায়ূন আজাদদের মনস্তত্ত্ব, তাদের আদর্শের স্ববিরোধিতা এবং তারা অবিশ্বাসের মোড়কে যে সংকীর্ণ বিশ্বাসগুলো লালন করে সেগুলোকে দর্শন ও বস্তুবাদী বিজ্ঞানের আলোকে উন্মোচন করেছেন। বইটার গুরুত্ব আরো বেড়েছে একারণে যে লেখক মুসলিম স্কলারদের থেকে খুব বেশি সাহায্য না নিয়ে বরং হুমায়ূন আজাদরা যে পশ্চিমা দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিকদের বক্তব্যকে প্রবাদতুল্যজ্ঞান করে, সেই দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিকদের বক্তব্য দিয়েই আজাদদের চিন্তার দৈন্যকে স্পষ্ট করেছেন।বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের টপিকগুলো এত ব্যাপক যে, এর প্রতিটি নিয়েই একেকটি বই হওয়া সম্ভব। এগুলোকে একই বইয়ে স্থান দিতে গিয়ে অনেকস্থানে লেখক আরো বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন নি। আমরা আশা করবো তিনি এবং এই পথের অন্য পথিকরা সে বিষয়গুলো নিয়ে আরো বৃহৎ কলেবরে, আরো বিশ্লেষণাত্মক আলোচনাসমৃদ্ধ লেখা আমাদের উপহার দেবেন। … ||

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top